প্রকৃতির রুদ্রমূর্তিতে একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে গিয়েছিলেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে চঞ্চলের সঙ্গে আটকা পড়েন ওই ছবির প্রায় শতাধিক কলাকুশলী। তবে বুলবুলের তাণ্ডব শেষে এরই মধ্যে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে জনপদ। সেইসঙ্গে আজ থেকে ফের শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত ছবি ‘হাওয়া’র।
গত মাসের মাঝামাঝি ‘হাওয়া’ ছবির টিম শুটিংয়ের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। বেশ কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও সম্প্রতি বিপত্তি বাধে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে। বুলবুলকে কেন্দ্র করে হুঁশিয়ারি সঙ্কেতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চঞ্চলের ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীদের উৎকণ্ঠার পরিমাণ বাড়তে থাকে। তবে বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আগে শক্তি ক্ষয় করায় তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশে।
বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে রোদ ঝলমলে, চিরচেনারূপে এখন সেন্টমার্টিন। দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে গত চারদিন শুটিং বন্ধ থাকার পর আজ আবারও শুরু হতে যাচ্ছে ছবিটি। আর এই তথ্য নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন চঞ্চল।
পোস্টে চঞ্চল জানান, আজ সাগর বেশ শান্ত। সেইসঙ্গে ‘হাওয়া’ টিমের জন্য যারা উৎকণ্ঠায় ছিলেন ও দোয়া করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান চঞ্চল। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি তিনি।
সম্পর্ক, প্রতিশোধ এবং মৃত্যুকে উপজীব্য করে গড়ে উঠেছে ‘হাওয়া’ গল্পটি। এটি মাটির গল্প নয়, বরং পানির গল্প। সমুদ্রপাড়ের মানুষ প্রধান উপজীব্য হলেও সমুদ্রপাড়ের গল্প নয়, বরং সমুদ্রের গল্প থাকছে এখানে। ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণে আছেন কামরুল হাসান খসরু। প্রযোজনা করছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।