ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-কৈকা প্রকল্পের অয়োজনে অতিদরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে চাল,ডাল ও তেল বিতরণ
জেলা প্রতিনিধি- মোঃ নাঈম ইসলাম
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-কৈকা প্রকল্প ৫ বছরের নীচের শিশু ও গর্ভবতী মা’দের পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য গত বছর হতে কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠির মধ্যে পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য সমন্মিত কর্মসুচি হাতে নিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে লক্ষিত অতিদরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে চাল, ডাল ও তেল বিতরন, হাস-মুরগি পালন এবং সব্জি চাষ প্রশিক্ষনের পর হাস-মুরগি ও সব্জি বীজ বিতরন, শিশুদের জন্য পুষ্টিকলা বিতরন ইত্যাদি।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটি ৮ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে ডাবোর ইউনিয়নে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায়ের মাধ্যমে চাল, ডাল ও তেল বিতরন শুরু করে যার আওতায় ঐ ইউনিয়নের ১৯৮ টি পরিবার প্রত্যেকে ১৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ কেজি সয়াবিন তেল পেয়েছে । ঐ বিতরনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সচিব, নির্বাাচিত মেম্বরগন এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্পের কিছু উদ্ভাবনী কর্মসূচী রয়েছে যা অন্য যেকোন প্রকল্প থেকে পৃথক যেমন; শিশুদের পুষ্টি উন্নয়ন, মেধা বিকাশ এবং গর্ভবতী মা’দের সেবা নিশ্চিতকরনে নারীদের পাশাপাশি বাবাদের ভূমিকা নিশ্চিত করা যা জেন্ডার বৈষ্যম্য দুর করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। অন্য আরেকটি ভিন্ন রকম কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাড়ি পর্যায়ে পাড়ার সদস্যদের অশগ্রহনে শিশুদের জন্য খিচুড়ি রান্না এবং তাদের অড়ম্বরপূর্ন খাবার অয়োজন যা ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে শিশুর ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম বাড়াতে সক্ষম।
এই খিচুড়ি রান্না এবং শিশুদের খাওয়ানোর পদ্ধতি মা’দের অভ্যাসটাকেই পাল্টে দিচ্ছে যা তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আনবে বলে গ্রামের সাধারন জনগন মনে করছে।
তিন বছর মেয়াদের এই প্রকল্পটি ডাবোর ইউনিয়নের শিশুর পুষ্টিমান স্বাভাবিক পর্য়ায়ে উন্নীত করবে যা শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা এবং তাদের মেধা বিকাশে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
প্রকল্পটি গ্রামের জনগন, ইউনিয়ন পরিষদ এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্ময় এবং অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ফলে জনগনের অংশগ্রহনে প্রকল্পটি তার লক্ষ অর্জনে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।