বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা একটি সেবা হলো ডাক টাকা। এটি বাংলাদেশ সরকারের ৮৫০০+ (আট হাজার পাঁচশত বেশি) ডাকঘরের মাধ্যমে ৩ কোটি আনব্যাংকড (যাদের ব্যাংক হিসাব নেই) মানুষকে ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়ার জন্য গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে সেবাটি উদ্বোধন করেন । উদ্ধোধনের পর পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এতো দিন কার্যক্রম চললেও আজ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পূন রুপে শুরু হলো ডাক টাকা।
ডিজিটাল ও সহজ পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন এবং এক মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমেই যেন সব কিছু পাওয়া যায় এই লক্ষ্য নিয়ে আজ বিভিন্ন অফিসের পোস্টমাস্টার এবং দেশের সকল পোস্টাল বিভাগীয় পোস্ট ই-সেন্টারের উদ্দোক্তাদের জন্য ডাক টাকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজন করে ডাক অধিদপ্তর। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোস্তফা জব্বার, মাননীয় মন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব অশোক কুমার বিশ্বাস, সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনীয়া কবির বশির, প্রধান নির্বাহী, ডি-মানি এবং শাম্মী কায়সার, প্রেসিডেন্ট, ই-ক্যাব, জনাব শুধাশু শেখর ভদ্র, মহাপরিচালক, ডাক অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তবে বলেন পোস্ট অফিসের প্রতন্ত অঞ্চলে কার্যক্রম থাকায় গ্রামীন জনগোষ্টির কাছে খুব দ্রুত ডাক টাকার সেবা পৌছিয়ে দেওয়া যাবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে ডাক টাকা গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবে।
ডাক টাকার বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ডাকঘরে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রথমে একটি হিসাব (একাউন্ট) খুলতে হবে। ডাকঘরের পোস্টাল ক্যাশ কার্ড দিয়ে মোবাইলের সেই হিসাবে (একাউন্ট) টাকা রিচার্জ বা অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। এরপর প্রয়োজনে কেনাকাটা করে দাম মেটানোর সময় এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) ব্যবহার করে বা কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোডের ওপর মোবাইল ফোনটি ধরলেই পেমেন্ট করা হয়ে যাবে। মোবাইল ফোনটিই তখন হয়ে যাবে ডিজিটাল ওয়ালেট। আর ওয়ালেটের মধ্যে যে টাকা থাকবে সেই টাকাই হলো “ডাক টাকা”
বিশেষ অতিথি সোনীয়া কবির বশির, প্রধান নির্বাহী, ডি-মানি বলেন, ডাক টাকা মূলত একটি ডিজিটাল ওয়ালেট। ডিজিটাল ও সহজ পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন এবং এক মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমেই যেন সব কিছু পাওয়া যায় এটাই এই ওয়ালেটটির লক্ষ্য। ডাক টাকা এর ম্যধমে কার্ড বা অ্যাপ ব্যবহার করে কেনাকাটারও সুযোগ রয়েছে একই সাথে ব্যবহারকারীরা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করতে পারবেন।
এই সেবাটির কারিগরি সহায়তায় রয়েছেন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান “ডি-মানি”।