উপজেলা প্রতিনিধি:
বর্তমান কম্পিউটারের যুগ। এ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ ও জাতিকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে হলে কম্পিউটার শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সময়ে “ডিজিটাল বাংলাদেশ ” গড়ে তুলতে যে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছেন এটি অন্যতম। প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং এই পরির্তনের সঙ্গে যারা দ্রুত খাপ খাইয়ে নেবে তারাই এগিয়ে যাবে, আর যারা দেরি করবে তারাই ছিটকে পড়বে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে, নরসিংদী জেলা রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নে “আইটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” গড়ে উঠেছে। যেখানে ৩ মাস, ৬ মাস ও ১ বছর মেয়াদি বিভিন্ন ট্রেড কোর্স চালু রয়েছে। এই সেন্টার থেকে ইতোমধ্যে বহুশিক্ষার্থী কোর্স শেষ করেছে এবং করছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই আইটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার হওয়াতে এলাকার সকল ছেলে-মেয়েরা অতি সহজেই কম্পিউটার শিখতে পারছে। এই সেন্টার থাকার ফলে ছেলে-মেয়েদেরকে কম্পিউটার শিখার জন্য বহু দূর বা শহরে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে না।
এই সেন্টারের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা মোঃ ফরহাদ মিয়া জানান, এমন একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে “বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিন আইটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” গড়ে উঠবে কেউ কল্পনাও করেনি। তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়! ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার শিখে পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি সার্টিফিক পাচ্ছে। প্রযুক্তির সুবিধা বঞ্চিত এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সক্রিয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এই সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন শিক্ষার্থী ও বেকার তরুনরা। বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে, শুধু একাডেমিক শিক্ষা নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। তাই একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। বর্তমান সময়ে সরকারি ও বেসরকারি এমন কোন প্রতিষ্ঠান পাবেন না, যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার নেই। এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেই “আইটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে” আসছেন শিক্ষার্থী ও বেকার তরুণরা।
প্রযুক্তি ব্যবহার ছাড়া এখন দৈনন্দিন কাজ কর্ম কল্পনাও করা যায় না। দেশ ও জাতিকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, শহরের মানুষের পাশাপাশি গ্রামের মানুষদেরকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গ্রামে বসবাস করে তরুণ-তরুণীদের বড় একটি অংশ। তাদেরকে পিছিয়ে রেখে প্রযুক্তির চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সক্রিয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য কারিগরি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই।