কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অন্যের কাছে বিক্রয় করে যে দলিল ও রেজিষ্টারী করে দেন তাকে সাফ-কবালা বলা হয়।
এই দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর বিক্রেতা সাবরেজিষ্টারী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টারী করে দিবেন।
এই দলিল রেজিষ্টারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের অর্থাৎ খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো।
বিক্রেতা বা তার ওয়ারিশানরা উক্ত জমি হতে নিঃস্বত্ববান হলেন।
২) দানপত্র দলিলঃ
যে কোন সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন।
এই দলিলে শর্তবিহীন অবস্থায় সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদানের দান করতে হবে।
স্বত্ব সম্পর্কে দাতার কোন প্রকার দাবী থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না।
৩) হেবা দলিলঃ
মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা দলিল,এই দলিল কোন কিছুর বিনিময়ে নয়,কেবলমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করা হয়।
কিন্তু এই হেবা শর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়,রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সকল ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে।
স্বত্ব সম্বন্ধে বিক্রেতার কোন দাবী থাকলে সেই হেবা দলিল শুদ্ধ হবে না এবং যে কোন সময় বাতিল হবে। এরূপ হেবা পত্রে বিক্রেতার কোন স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।
৪)হেবা বিল এওয়াজ দলিলঃ
এই হেবা বিল এওয়াজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল এই দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয়।
কিন্তুএই দলিল কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে,যেমন-পবিত্র কোরআন,জায়নামাজ,তছবিহ,মোহরানার টাকা,এমন কি যে কোন জিনিষের বিনিময়েও হতে পারে,যেমন আংটি ইত্যাদি।
এই দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহিতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল ধরণের ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং বিক্রেতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহিতাতে অর্পিত হবে।
বিক্রেতার স্বার্থে কোন প্রকার স্বত্ব বিক্রেতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে।
এই দলিল যদি টাকা বিনিময়ে হয় এবং ক্রমিক ওয়ারিশী সূত্রে আগে পরে তিন ধাপের পরের ব্যক্তিকে বা তৃতীয় ব্যক্তিকে হেবা বিল এওয়াজ মুলে দান করে থাকে তা হলে শরীক কর্তৃক জানার তারিখ হতে ৪ মাসের মধ্যে প্রিয়েমশান করতে পারে।
৫) এওয়াজ দলিলঃ
যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন, এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে।
এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হলোঃ ক এর জমি খ এর বাড়ীর কাছাকাছি এবং খ এর জমি ক এর বাড়ীর কাছাকাছি।
উভয়ের জমিই উভয়ের বেলপ্ত। কাজেই ক তার জমি খ কে এবং খ তার জমি ক কে দিয়ে উভয়ে একটি দলিল সম্পাদন করে রেজিষ্টারী করে নিল।
একেই এওয়াজ দলিল বলে। এই দলিলের কেহ প্রিয়েমশান করতে পারে না।
৬) বন্টনমানা দলিলঃ
শরিকদের মধ্যে সম্পত্তি নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের যে দলিল করতে হয় তাকে বন্টননামা দলিল বলে।
একই সম্পত্তিতে মালিক একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের,উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক ও কোন শরিকের হতে খরিদ সূত্রে শরিক।
এই দলিল করার সময় সকল শরিকগণ দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে দলিল করতে হবে। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বন্টননামা শুদ্ধ হবেনা।
এই দলিল রেজিষ্টারী করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বন্টন করে সকল পক্ষগণ যদি দলিলে দস্তখত করে থাকেন তা হলেও বন্টননামা কার্যকরী হতে পারে।
যদি শরিকগণের বন্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বন্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।
৭) অছিয়তনামা দলিলঃ
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অছিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে একজনকে বা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তার উত্তরাধিকারীগণ দাবী করে তাহলে যাকে সম্পত্তি অছিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাবে এবং দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারী দের সবার হবে।
৮) উইল দলিলঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজ সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন।
যিনি উইল করলেন তিনি জীবত কালে একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল ঐটাই কার্যকরী হবে।
৯) নাদাবী দলিলঃ
কোন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তিতে তার স্বত্ত্বাধিকার ত্যাগ করছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন। এই দলিলকে নাদাবী দলিল।