পিরোজপুর জেলা ইন্দুরকানীতে মামার বাড়ীতে বেড়াতে এসে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ দুই দিন পর সোমবার ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রেখেছে। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা সারমিন কয়েকমাস আগে ভারত থেকে মা সহ বাড়ীতে আসেন। মা আবার ভারতে চলে গেলে সে বাড়ীতে থাকেন। গত সপ্তাহে উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের কবির হোসেনের ভাগ্নি কিশোরী (সারমিন ১৭) মামা বাড়ীতে বেড়াতে আসেন।
দুই দিন পর তার মামার সাথে পারিবারিক কলহ কারনে তার মামা বাড়ী থেকে নামিয়ে দেন। কিশোরী পাশর্^বর্তী খালাত মামা বালিপাড়া গ্রামের সাত ঘরের হাফেজ আবুল বাশারের ছেলে জাহিদ হোসেন এর বাড়ীতে উঠেন এবং ঐ বাড়ীতে সে কয়েক দিন থাকে। ওই কিশোরী ঢাকা তার অন্য মামার বাসায় যাবে বলে শনিবার সন্ধ্যায় বালিপাড়া বাজারে বাাসের টিকিট কাটতে আসলে তার খালাত মামা জাহিদ বাজারের এক ব্যবসায়ী মনির কে নিয়ে রাতে উত্তর বালিপাড়া গ্রামের কথিত এক নেতার কাছে জোর করে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে খালাত মামা জাহিদের সহায়তায়, দোকানদার মনির সহ আরও কয়েকজনে মিলে কিশোরিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষক মামা জাহিদ ওই রাতেই আবার তার বাড়ীতে নিয়ে যায়।
ধর্ষিতা কিশোরি জানান, আমাকে বালিপাড়া থেকে জোর করে নিয়ে আমার মামা জাহিদ, মনির সহ আরো কয়েকজন মিলে ধর্ষন করেন। আমি অজ্ঞান হয়ে কিছুক্ষন পড়ে থাকি, সুস্থ হলে আবারও জাহিদ মামা তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার আত্মীয়স্বজনের কাছে বললেও তারা কোন সমাধান দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে সোমবার ইন্দুরকানী থানা পুলিশ কিশোরীকে তার খালাতো মামা জাহিদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কিশোরীকে বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। কিশোরীর বাবা-মা ভারতে থাকে সে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবীবুর রহমান জানান, ভারত থেকে আসা ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে তার খালাত মামা জাহিদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীর কোন দায়িত্বশীল অভিভাবক না থাকায় কিশোরী (সারমিন) বাদী হয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার প্রস্তুতি সহ আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে।