ইন্দরকানীতে মৎসজীবী তালিকা ও চাল বিতরণে অনিয়ম অভিযোগইন্দুরকানী সংবাদদাতা: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মৎসজীবী তালিকা ও চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ মে) উপজেলার খাদ্য গুদামের সংরক্ষিত এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বিশৃংখলার মধ্যে বালিপাড়া ইউনিয়নের মৎসজীবীদের চাল বিতরনের সময় এমন অনিয়মের অভিযোগ করে কার্ডধারী জেলেরা।
খরব পেয়ে পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ এবং ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট নিবন্ধিত মৎসজীবীর সংখ্যা ১৮০২জন এদের মধ্যে বিগত দিনে নিয়তমি চাল পেত ৯৪৮জন। নিয়মিতদের কিছুদিন আগে ২ মাসের চাল বিতরন করা হয় কিন্তু তখনও বরাদ্দ না থাকায় কার্ডধারী প্রায় ৯শ জেলে চাল পয়নি। বর্তমানে করোনা মহামারির দূর্যোগের কারনে উপজেলায় মোট ১১৫০ জন জেলের জন্য ২মাসের চাল বরাদ্দ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকৃত কার্ডধারী জেলে আনেচ পিতা কাদের, ইব্রাহিম মৃধা পিতা আলী আকবর মৃধা, বাবুল মৃধা, সেকান্দার মৃধা, মনির মিয়া পিতা শাহজাহান ডাক্তার, শাহিন শিকদার পিতা জব্বার শিকদার, বাবুল শেখ পিতা মোক্তার আলী শেখ সহ উপস্থিত প্রায় শতাধিক জেলেরা চাল না পেয়ে খাদ্যগুদামের মধ্যে বিক্ষোভ করে।
যারা নিয়মিত জেলেনা এবং নিবন্ধন নাই তারাই চাল পাচ্ছে। এদের মধ্যে বাহাদুর পিতা ইউসুফ আলী, সাইদআলী মিস্ত্রী, সেলিম মাতুব্বর পিতা শামছু মাতুব্বর, জসিম হাওলাদার পিতা ইদ্রিস হাং এদের মত অধিকাশরাই চাল পাচ্ছে।
উপজেলা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি হামেদ জোমাদ্দার জানান, প্রকৃত জেলেদের ২মাসের চাল পাওনা আছে তাদের নামের বরাদ্দকৃত চাল না দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন তালিকায় দিনমজুর, ভ্যান চালক, কৃষক সহ বিভিন্ন পেশার লোকদের জেলে নামে তালিকাভূক্ত করে চাল দিচ্ছে অথচ মৎসজীবী তালিকা অনুমোদনে আমার স্বাক্ষর থাকার কথা কিন্তু আমার স্বাক্ষর ছাড়াই তাদের তালিকা অনুমোদন করে চাল দিচ্ছে আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জানান, জেলার সমন্বয় সভার সিদ্বান্ত এবং উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কার্ডধারী যারা কিছুদিন আগে চাল পেয়েছে করোনা দূর্যোগের কারনে তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল বাদপড়া জেলেদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা তাদের পাওনাকৃত ২মাসের চাল আর পাবে না তবে পরবর্তীতে আবার যখন বরাদ্দ হবে তখন পাবে।