এম মিজানুর রহমান (লিটন)
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার ভৈরব নদের জমি চলে যাচ্ছে রাঘববোয়ালদের হাতে। নদে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায় এবং দখলবাজদের দৌরাত্যে নদীর বাঁক বদলে যাওয়ায় জেগে উঠছে চর। আর এই চরে প্রতিনিয়ত আটকে যাচ্ছে কার্গো আর জাহাজ। ফলে একদিকে ধ্বংস হচ্ছে নদীবন্দর অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর নওয়াপাড়া শহর হারাতে যাচ্ছে তার ঐতিহ্য। সচেতন মহলের দাবি এভাবে দখলবাজদের পেটে ভৈরব নদ বিলীন হতে থাকলে একসময় নওয়াপাড়ার প্রাণ এই নদটি মরা খালে পরিণত হবে। তাছাড়া বৃহত্তম নওয়াপাড়া শহর হারাবে নৌবন্দরের ঐতিহ্য। থমকে যাবে শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার সমৃদ্ধির চাঁকা। স্থানীয়রা দাবি করেন, বছরের পর বছর ধরে নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদটি দখল করে চলেছে দখলবাজরা। ভৈরবের প্রায় অর্ধেক জমি চলে গেছে দখলবাজদের পেটে। এমনকি নদীর মাঝে বাঁধ দিয়েও দখল করা হয়েছে ভৈরব নদ। তবুও এসব রাঘববোয়াল দখলবাজরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এসকল অবৈধ স্থাপনা ও দখল অজ্ঞাত কারণে উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। এদের ব্যাপারে কর্তপক্ষ বরাবরই উদাসীন। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদ ড্রেজিং হয় যেমনতেমনভাবে। সঠিক ব্যবস্থাপনায় ভৈরব নদ ড্রেজিং না হওয়ায় পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। সেই সাথে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে পানির প্রবাহ। আর এই নামমাত্র ডেজিং চলে দখলবাজদের সুবিধা মাথায় রেখে। ফলে দখলবাজদের কারণে নদের বাঁক বদলে গেলেও তার সুরাহা হচ্ছে না। নওয়াপাড়া বাজারের আমদানীকারক, ব্যবসায়ী, হাজার হাজার ঘাট শ্রমিক ও স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি- অবিলম্বে ভৈরব নদ দখলমুক্ত করে সঠিক ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদটি আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে নওয়াপাড়ার শিল্প-বাণিজ্য ও ব্যবসা থমকে দাঁড়াবে। পথে বসবে হাজার হাজার পরিবার। সরকার হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, হাতে গোনা দু-দশজন দখলবাজদের জন্য নওয়াপাড়া বন্দরের এত বড় বিপর্যয় কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তারা নৌ-মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্থক্ষেপে এসব দখলবাজদের হাত থেকে ভৈরব নদকে রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছেন।