শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট হাইটেক পার্কের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী এখন থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-মার্কেটিং এর সুবিধা পাবেন। সরকারের আইসিটি খাতে এই অভাবনীয় সাফল্য মুজিববর্ষেরই উপহার।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- অতিরিক্ত সচিব বিপ্লব কুমার ঘোষ, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনসহ স্থানীয় নেতারা।
এরপর বিকেলে প্রতিমন্ত্রী কুড়িগ্রামের বৃহৎ ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় দাসিয়ারছড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণাধীন ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তার উদ্বোধন করেন।
এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ৬৮ বছরের পিছিয়ে থাকা বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষদের আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য এ ট্রেনিং সেন্টার মুজিববর্ষে উপহার দেয়া হলো।
মুজিববর্ষে ৪০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে কুড়িগ্রামের ৫০০ আইসিটি তরুণকে প্লানিং লার্নিংয়ে ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ দিয়া হবে। এছাড়াও মুজিববর্ষে জনগণকে ১০০ সার্ভিস উপহার দেয়া হবে। যেখানে প্রায় ১০ কোটি মানুষ সেবা পাবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আইসিটি সেক্টরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থান পেয়েছে এবং ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। প্রায় ২ লাখ সফটওয়্যার টেকনোলজিতে কাজ করছে। লক্ষাধিক ছেলে-মেয়ে কল সার্ভিসে কাজ করছে। এছাড়া ৫০ হাজারও বেশি তরুণ ই-কমার্সে কাজ করছে।