পিরোজপুরে জন্ম নিবন্ধন করিয়ে দেয়ার কথা বলে দুর্নীতির অভিযোগ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জন্ম নিবন্ধন করার কথা বলে অভিভাবকের কাছ থেকে নেয়া ১৯০০ টাকা সহ চেয়ারম্যানের হাতে ধরা পড়েন প্রধান শিক্ষক বিনয় বরণ হালদার। রোববার দুপুরে উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিভাবক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন ২০নং সেউতিবাড়ীয়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় বরণ হালদার তার কাছ থেকে প্রথমে ৪০০ টাকা নিয়েছে এবং আরও ১৫০০ টাকা দাবি করে।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান ১৫০০ টাকায় চিহ্ন দিয়ে ওই শিক্ষককে দিতে বলেন। টাকা নেয়ার পর পরই চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন তাকে ডেকে পরিষদে নিয়ে আসেন এবং তার কাছ থেকে ওই ঘুষের টাকা বের করেন। পরবর্তীতে ওই প্রধান শিক্ষক ১২ জন ইউপি সদস্য ও জনতার সামনে বলেন আমার ভুল হয়েছে। আমি আর এ ধরণের কাজ করবো না বলে ওই অভিভাবকের কাছে ১৯০০ টাকা ফেরৎ দিয়ে দেয়।
সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম জানান, আমি সবজি বিক্রি করে সংসার চালাই।
আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন করতে নানা অযুহাত দেখান। চেয়ারম্যানকে টাকা দেয়া লাগবে বলে মিথ্যা বলে প্রধান শিক্ষক বিনয় স্যার আমার কাছ থেকে দুই বারে ১৯০০ টাকা নেয়।
এ বিষয় চেয়ারম্যান তাকে ডাকলে সে ভুল স্বীকার করে এবং টাকা ফেরৎ দিতে বললে টাকা দিয়ে দেয়।
অনলাইনে আবেদনকারী কম্পিউটার অপারেটর মোঃ এনামুল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক বিনয় স্যার আমার কাছ থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করিয়েছিল।
সেউতিবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ সুমন জানান, প্রধান শিক্ষক বিনয় বরণ একজন দূর্ণীতিবাজ। সে এলাকার গরীব অসহায় অশিক্ষিত ২৫ থেকে ৩০ জন অভিভাবকের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন করার নামে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছে। এর আগেও তিনি এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ভাতার টাকা মেরে খেয়েছিলেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সাংবাদিকদের সামনে টাকা ফেরৎ দিয়েছে। কিন্তু পরে আবার অস্বীকার করেন।
ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম ইমন তালুকদার জানান, সেউতিবাড়ীয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলের জন্ম নিবন্ধন করার কথা বলে প্রধান শিক্ষক বিনয় বরণ এক হাজার নয়শত টাকা নেয়। অভিযোগ প্রমান হলে প্রধান শিক্ষক আমার সামনে ভুল স্বিকার করে আর এ ধরণের কাজ করবে না মর্মে টাকা ফেরৎ দেয় যার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে। ওই টাকায় দাগ দিয়ে রাখা হয়েছে।