বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশফেরত ব্যক্তিকে এরইমধ্যে হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ছয়জন(৬) জন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় তিনজন(৩) জন এবং সদর উপজেলায় একজন(১), এরা সবাই সম্প্রীতি সময় দেশে এসেছেন।
সোমবার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো বিষয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর সুনামগঞ্জ শহরে ইপিআই ভবনে অনুষ্ঠিত এই জরুরী সভায় জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামসুদ্দীন জানায়, যারা বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন এবং তারা স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরে আছেন।তাদের প্রত্যেককে ১৩ দিন করে নিজ বাড়িতে কোয়ারান্টিনে (আবদ্ধ) রাখতে হবে। একই সঙ্গে করোনা বিষয়ে গঠিত উপজেলা কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোরশেদ জানান, তার উপজেলায় কোয়ারান্টিনে (আবদ্ধ) আছেন ৬ জন। এর মধ্যে একজনকে সোমবার চিহ্নিত করে আটক করেছেন।আটককৃত ব্যক্তির বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গত ৮ মার্চ দেশে এসেছেন। সোমবার তিনি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক করোনা বিষয়ক সুনামগঞ্জ জেলার সহযোগী টিম তাকে আটক করে।পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন শামসুদ্দিন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে থেকেই কোয়ারান্টিনে (আবদ্ধ) থাকা ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেউ ব্যতিক্রম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে কারো মাঝে করুনার লক্ষণ উপস্থিত হলে সেটি সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
উক্ত জরুরি সভায় উপস্থিত থাকা সুনামগঞ্জের ৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো অবহেলার সুযোগ নেই আমাদের সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন জেলার করোনা সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানাতে হবে সুনামগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন এর উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।