বসুন্দিয়ায় ভৈরব নদী থেকে অভয়নগরের নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
মিজান রহমান লিটন:
যশোরের বসুন্দিয়ার সদুল্লাপুর ভৈরবের শাখা নদী (কাটা খাল) থেকে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের (19)বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১ টায় পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্ত করেছে পিবিআই যশোর। নিহতের প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইমনকে হত্যার পর তার কাছে থাকা ইজিবাইক ছিনতাই করে দুর্বিত্তরা। পরবর্তিতে ঘাতকরা ইমনের লাশ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে চলে যায় ।
ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের পুড়াটাল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। বাবা আবুল কালাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন, এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাইক স্ট্যান্ডে খোজ নিলে অন্য চালকরা জানায়, সবশেষে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। এঘটনায় অভয়নগর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন তারা। অবশেষে পুলিশের কাছথেকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় নদীর পাড় থেকে প্রচন্ড দূর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরবর্তীতে তারা একটি বস্তায় ভরা লাশ সাদৃশ্য ভেসে থাকতে দেখেন। পুলিশকে খবর দিলে মুহুর্তের মধ্যে পুলিশ,পিবিআই,ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে এবং লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ইমনের কাছে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হয় ইমন। এঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে আজ সকালে লাশ উদ্ধার হয়। ইমনের পরিবারের সদস্যরা এসে পরিচয় শনাক্ত করে। লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাইকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছে চালক ইমনকে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়া হয়েছে নদীতে। পুলিশ এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর ও ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।