উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী যে নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক চালু করেছেন, তার সদস্য সংখ্যা এখন এক লাখ ষাট হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ডাব্লিউটি:সোশ্যাল নামের এই নেটওয়ার্কে কোন বিজ্ঞাপন থাকবে না এবং ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কখনেই বিক্রি করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জিমি ওয়েলস। মূলত ব্যবহারকারীদের দান করা অর্থ দিয়েই এটি চলবে। খবর বিবিসি বাংলার
যারা এটির সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাদের একটি অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হবে। তবে কেউ যদি অন্য বন্ধুদের এই নেটওয়ার্কে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাঠান তখন তার নাম অপেক্ষমান তালিকার উপরের দিকে চলে আসবে। অথবা কেউ চাইলে মাসিক বা বার্ষিক চাঁদা দিয়ে সরাসরি এর সদস্য হতে পারবেন।
ডাব্লিউটি:সোশ্যালে মূলত খবরেরই প্রাধান্য থাকবে। কোন খবরে ভুল থাকলে সদস্যরাই সেটি সংশোধন করতে পারবেন।
এটির টাইমলাইনে সদস্যরা নানা খবর শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই টাইমলাইনে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক খবরই সবার আগে আসবে। ফেসবুকের মতো এখানে অ্যালগরিদমের ভূমিকা থাকবে না। ফেসবুকে কোন ব্যবহারকারীর কিসে আগ্রহ, সে অনুযায়ী টাইমলাইনে বিভিন্ন পোস্ট আসতে থাকে এবং এটি নির্ধারিত হয় অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে।
ডাব্লিউটি:সোশ্যাল এর মাসিক চাঁদা যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ ডলার। বার্ষিক চাঁদা ১০০ ডলার। যুক্তরাজ্যে মাসে ১০ পাউন্ড এবং বার্ষিক ৮০ পাউন্ড। আর ইউরোপে মাসে ১২ ইউরো বা বছরে ৯০ ইউরো।
ডাব্লিউটি:সোশ্যাল বলছে, যারা এর ব্যবহারকারী, তারাই ঠিক করবেন তাদের টাইমলাইনে তারা কি দেখতে চান। কোন বিভ্রান্তিকর শিরোনাম দেখলে সেটি ব্যবহারকারীরা নিজেরাই সংশোধন করতে পারবেন।
সম্প্রতি লণ্ডনের ফাইনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জিমি ওয়েলস বলেন, বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলি যেরকম বিজ্ঞাপন নির্ভর, তাতে অনেক সমস্যা আছে।
জিমি ওয়েলস ২০১৭ সালে উইকিট্রিবিউন নামে একটি নিউজ প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিলেন। এটির উদ্দেশ্য ছিল ভুয়া খবর বা ফেইক নিউজকে মোকাবেলা করা।
কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে এই নিউজ প্ল্যাটফর্মের পেশাদার সাংবাদিকরা বিদায় নিয়ে চলে যান।
এখন চালু করা ডাব্লিউটি:সোশ্যাল উইকিপিডিয়া থেকে একেবারেই ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠান।
সোশ্যাল মিডিয়া কনসালট্যান্ট জোয়ি কেয়ার্নস মনে করেন, ডাব্লিউটি:সোশ্যাল কে যদি সফল হতে হয় তাহলে এর সদস্য সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে হবে যাতে এটি এখনকার বৃহৎ সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোর একটি সত্যিকারের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। এজন্যে প্রচুর অর্থ এখানে ঢালতে হবে।
মানুষ বিনা মূল্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভ্যস্ত। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো এর জন্য অর্থ দিতে রাজী হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন বিনামূল্যে তাদের আঙ্গুলের ডগায় সংবাদ পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।