সমগ্র পৃথিবী এখন কঠিন সময় পার করছে। মরনব্যাধী করোনা ভাইরাসের উন্মুক্ত থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা পৃথিবীর উন্নত বিশ্বেরও কোন দেশ। সারা বিশ্ব আজ ক্ষুদ্র একটি করোনা ভাইরাস নামক এই শত্রুর মোকাবেলায় পর্যুদস্ত ও অক্ষমতার কথা প্রকাশ করে নিজেদের ব্যর্থতাকে স্বীকার করে নিয়ে মহান প্রতাপশালী ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আছে। সব ধর্মের মানুষ যার যার ইবাদত গৃহে মহামারী থেকে বাঁচতে অনুনয় বিনয় করছে।
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের উপরও এ মহামারী দিনকে দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। সমগ্র পৃথিবী এখনও এই ভাইরাসের কোন ঔষধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি। যার থেকে বাঁচার জন্য গোটা পৃথিবী একটি পন্থা অবলম্বন করে চলছে। তাহলো সচেতনতা বৃদ্ধি ও গনজমায়েত এড়িয়ে চলা।মানুষ যখন কোন বিধি নিষেধ অমান্য করে যার মতো করে চলছে। এসময় সরকার ও সরকারের প্রতিনিধিরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আমাদের প্রাণের শহর মঠবাড়িয়ার একজন নিষ্ঠাবান ও জনদরদী ব্যক্তি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রিপন বিশ্বাসের নাম সর্বাগ্রে চলে আসে তার কর্ম পদ্ধতি দেখে। তিনি রাতদিন একাকার করে মঠবাড়িয়ার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। যেনো এটা তার জন্মস্থান সেরকম।
ইতিমধ্যে এই দূর্যোগময় মূহুর্তে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। মঠবাড়িয়ার অলিতে গলিতে ১১ টি ইউনিয়নে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। অভিযান চালাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের দমনে।
এরপরও সুযোগ সন্ধানী মানুষগুলোর চিরাচরিত অভ্যাস , বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেয়া, চায়ের দোকানে বসে গল্প করা,গান বাজনা নাটক ছায়াছবি দেখা। এগুলো রোধকরার জন্য নিজে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন দোকানে থাকা বেঞ্চ টুল ও অনবরত চলতে থাকা টিভি দাঁড়িয়ে থেকে খুলে সরিয়ে ফেলার ব্যাবস্থা করেন। এবং বেশি রাত পর্যন্ত যাতে বিনা কারণে কেউ বাহিরে অবস্থান না করেন সে ব্যাপারেও সতর্ক করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় যারা বিদেশ ফেরত তারা ঠিকমতো হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কিনা সেব্যাপারেও সতর্ক অবস্থানে আছেন।
তাছাড়া সন্ধ্যা ৭ টার পর ঔষধ ও কাঁচা বাজার ও মাছের বাজার ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
সর্বোপরি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে জনাব রিপন বিশ্বাস মহোদয়ের নিকট অনুরোধ । দেশের এই ক্রান্তিকালে ব্রাক ব্যাংক,আশা ব্যাংক,রিক,ডাক দিয়ে যাই, সংগ্রাম সহ যেসব এনজিও গ্রামে গঞ্জে এখনও নিয়মিত কিস্তির টাকা কালেকশন করছে গরীব ও অসহায় মানুষের দিকে তাকিয়ে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অনুরোধ রইল।