নড়াইলে বালু ভর্তি ড্রেজারের আঘাতে সেতু ভেঙ্গে পড়ায় ঐ এলাকার জনগন দুর্ভোগে
খন্দকার সাইফুল নড়াইলঃ
নড়াইলে নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত লোহাগড়া পৌরসভার চোরখালি-কচুবাড়িয়া এলাকার কাঠের সেতুটি তিন মাস আগে ভেঙ্গে যায়। সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় পৌর এলাকার ১২টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী,অফিসগামিসহ সাধারণ মানুষকে উপজেলা সদরে আসতে ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে,ওই এলাকার মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০০৮ সালে নবগঙ্গা নদীর চোরখালি-কচুবাড়িয়া এলাকায় কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসের শেষ দিকে গভীর রাতে বালু ব্যবসায়ীরা তাদের বালু ভর্তি ড্রেজার নদীর পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আনতে গিয়ে সেতুর মাঝখানে আঘাত হানে। ফলে ভেঙ্গে পড়ে সেতুর অবকাঠামো।
জানতে চাইলে লোহাগড়া পৌর মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান বলেন,সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জনমুখে শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। তবে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ড্রেজার মালিকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,এই মুহুর্তে সেতু মেরামতের কথা ভাবছি না। সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি তিনি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেনা। তিনি সাময়িকভাবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নৌকার সাহায্যে নদী পারাপারের পরামর্শ দেন।
কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শ্যামসুন্দর পাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন পৌর এলাকার ১২টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা সদরে যেতে তাদের ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে অর্থ এবং সময় অপচয় হচ্ছে। সেতুটি নির্মিত হলে এই এলাকার মানুষ দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেত।
ধোপাদহ গ্রামের কলেজ ছাত্র রুহুল আমিন বলেন,সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ মিনিটের রাস্তা এখন এক ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে কলেজে যেতে হচ্ছে। আমার মতো আরো ১১টি গ্রামের শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি অতি দ্রুত সেতু মেরামতের জন্য সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তজার সদয় দৃস্টি কামনা করেন।
লোহাগড়া পৌর সভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাশ বলেন,পৌর মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি সাংসদ মামলাফি বিন মোর্তজার নজরে আনা হয়েছে।তিনি বলেন,ফেরসভা থেকে ওই এলাকায় কাঠের পরিবর্তে একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তজা বলেন সেতু ভেঙ্গে যাবার কথা শোনার পর সংশ্লিস্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেন,অতি দ্রুত কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করার ব্যাপারে কাজএগিয়ে চলেছে। তিনি এলাকার মানুষদের হতাশ না হবার কথা বলেন।