দেবীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ।
খন্দকার সাইফুল নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার দেবীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আচারণ বিধি লঙ্ঘন সহ নানাবধ অনিয়ম, দূর্ণীতি,খাম-খেয়ালিপনার অভিযোগ উঠেছে। তার আচারণে অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষক মন্ডলী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক একত্রিত হয়ে তাকে আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কারন দর্শের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের চিঠি ও প্রধান শিক্ষক সুত্রে যানা গেছে, মোঃ গোলাম আযম সহকারী শিক্ষক ( ইসলাম শিক্ষা) দেবীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৫ মে ১৯৯৬ তারিখে
নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। কেই তার খামখেয়ালী কাজে বাধা দিলে তাকে নিজেকে বিএনপির বড় নেতা দাবি করে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। জামাত বিএনপির আমলে বিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করে নানাবিধ অনিয়ম দূর্ণীতি সেচ্চাচারিতা মূলোক কাজ করতেন। তার ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করেননি। সম্প্রতি সময়ে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে এই সহকারী শিক্ষক মোঃ গোলাম
আযমের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই গৃহবধূ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা তাকে বিষয়টি মিমাংসা করার কথা বলায় তাদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তাকে দেশ ছাড়া করবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ( ৫ ফেব্রুয়ারী ) ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক সাক্ষরিত একটি কারন দর্শনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এবং সেই নোটিশে ৭ কর্মদিবসের মধ্য তাকে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না সেই বিষয়ে সন্তোষ জনক জবাব চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ গোলাম আযম বলেন, বীনা কারনে আমাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি বিএনপি করতাম কিন্তু কোন শিক্ষককে দলীয় ভাবে হুমকি দেওয়া হয়নি।
দেবীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব চন্দ্র সেন বলেন, কোন শিক্ষক তাকে পছন্দ করে না। প্রতিটি শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলোক আচারণ করেন। আমার কোন নির্দেশ সে মানে না। কিছু বললে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলেন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তোকে দেখে নেব। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তার আচরণ এ রকম।