চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দান সৎসঙ্গীদের মিলন মেলা
দ্বিপায়ন সুশীল, চট্টগ্রাম
অগণিত ভক্তবৃন্দ মুখরিত এবং সুশোভিত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দান। সবাই এসেছেন সৎসঙ্গের আচার্যদেব পূজ্যপাদ শ্রীশ্রী দাদার আশীর্বাদ পুতঃ যুগপুরুষোত্তম পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শুভ জন্ম বার্ষিকী মহোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচী উপভোগ করার জন্য। উৎসব আনে জাতির জাগরণ, সৃষ্টি করে জীবনের স্পন্দন। সেই স্পন্দনকে জাগ্রত করার জন্য প্রেমিক পুরুষের
সংস্পর্শে এসেছেন প্রেম সাগরে ডুব দেওয়ার জন্য। এই প্রেম হচ্ছে ভব সাগরের ত্রিতাপ জ্বালা থেকে মুক্ত হয়ে আদর্শ মানুষ হওয়ার প্রেম। যারা এসেছেন তাদের কেউ কেউ শ্রীশ্রী ঠাকুরের আসনের সামনে গিয়ে তাদের ভক্তি কুসুমাঞ্জলি নিবেদন করছেন। কেউ বা ভান্ডারায় গিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করে নিজেকে ধন্য করছেন। ক্ষুদে শিল্পীরা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার প্রাপ্তির আনন্দে আত্মহারা।
শত শত মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। আয়োজক মন্ডলী সব রকম চিকিৎসা সেবার কম বেশি ব্যবস্থা রেখেছেন। এই লেখাটা যখন লিখতে আরম্ভ করেছি তখন মাতৃ সম্মেলনের সভানেত্রী সাবেক শিক্ষিকা নমিতা ভৌমিক মহোদয়া বক্তব্য রাখছিলেন। আগত ভক্তবৃন্দ অপেক্ষা করছিলেন পুণ্যভূমি দেওঘর থেকে আগত পন্ডিত বলরাম দাশের ছড়া গান শোনার জন্য। গানের মাধ্যমে তিনি শ্রীশ্রী ঠাকুরের কথা
চট্টগ্রামবাসীকে শুনিয়ে গেলেন। ছড়া গান শেষ হতেই সবাই নৃত্য শিল্পীদের শৈল্পিক ছন্দে আত্মহারা হয়ে মঞ্চের দিকে চোখ আবদ্ধ করে নাচ উপভোগ করতে লাগল। যথাসময়ে ধর্মসভার মঞ্চ আলোকিত করলেন আগরতলা থেকে আগত সহপ্রতি ঋত্বিক, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও লেখক ডাঃ রাজেশ চৌধুরী। চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ডের এই বিরাট আয়োজন, হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের শুভাগমন দেখে আমি অভিভূত এবং আপ্লুত। যারা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে এত সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাদেরকে সাধুবাদ দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।