পিরোজপুরের কাউখালীতে জরুরী কথা আছে বলে রাস্তা থেকে বাসায় ডেকে নিয়ে ৯ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী আমিনুল হক রানা। শুক্রবার রাতেই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষক আমিনুর হক রানা (৪০) দাশেরকাঠী গ্রামের হামেদ মৃধার পুত্র। পুলিশ ও স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাশেরকাঠী গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রী শুক্রবার দুপুরের দিকে নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার সময় পথের মধ্যেই ধর্ষক রানা জরুরী কথা আছে বলে স্কুল ছাত্রীর হাত ধরে টেনে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ফাঁকা ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় ওই শিক্ষার্থী ডাক চিৎকার দিলে ধর্ষক তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ওই শির্ক্ষার্থী বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে ঘটনাটি জানালে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে থানায় পাঠান। থানাপুলিশ সাথে সাথেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সংঙ্গে নিয়ে ধর্ষক রানা কে আটকের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ রানাকে আটক করতে না পারলেও তার বাড়ি থেকে দুটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে।
এবিষয়ে কাউখালী অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শনিবার সকালে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে আটকের জন্য অভিযান চালান হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা বলেন, এই মহা দুর্যোগের সময় স্কুল ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক।