করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন দরিদ্রদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দিলেন পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ।
রবিবার উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের বাড়িতে চালের বস্তা নিয়ে হাজির হন এ কর্মকর্তা। তিনি নিজ হাতে গাড়ি থেকে ১০ কেজি চালের বস্তাগুলো বহন করে কর্মহীন দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন। এসময় ওই সব বাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা অবাক হয়ে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাদের বাড়িতে দেখে।
অফিসারের হাত থেকে চাল পেয়ে চরগাজীপুর গ্রামের রিক্সা চালক আব্দুল হাই (৫৫) জানান, মোর ঘরে স্যারে আইয়া চাউল দিয়া যাইবে হ্যা কোন দিন হপ্পনেও (স্বপ্ন) ভাবি নাই। আল্লায় সরকারেরে রহমত করুক। এই ভাবে যদি ঘরে বইয়া খাওন পাওয়া যায় হেলে তো আর মোগো ঘর দিয়া বাইরান (বাহির হওয়া) লাগে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, আমাদের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্দেশনায় আমি কর্মহীন দরিদ্র ব্যক্তিদের ঘরে ঘরে গিয়ে চাল পৌঁছে দিয়েছি। তার নিজস্ব অর্থায়নে প্রেরিত নানা প্রকার সুরক্ষা সরঞ্জাম হাসপাতাল ও জনসাধারনের মাঝে বিতরণ করেছি। যাতে করে কাউকে ঘরের থেকে বের হতে না হয়। তার জন্য যতটা সম্ভব কাজ করছি। গণজমায়েত বন্ধের জন্য মাইকিং ও টহল অব্যাহত রেখেছি। ভ্রাম্যামান আদালত চলমান রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আজ আমরা পাড়েরহাটের ১৫০ টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছি। পত্তাশী ও বালিপাড়ায় চারশত পরিবারের মাঝেও মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় চাল বিতরণ করা হবে।
পাড়েরহাট ইউনিয়নরপরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম সরোয়ার বাবুল জানান, আমাদের ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ একজন গণমুখী কর্মকর্তা। উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনের সাথে এক আত্মীক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তিনি। সর্বসাধারন তাকে খুব আপনজন মনে করেন। ২০১৭ সালের ২৭ আগষ্ট থেকে ২০১৮ সালের ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত যশোরের মনিরামপুরের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন এই অফিসার।