জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই পিরোজপুর জেলা ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর বাজারে বই(শিক্ষা সরঞ্জাম) হাতে কিছু শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া। খোঁজ নিয়ে জানাগেলো আগের মতোই বাজারের মধ্যকার টিউশনি সেন্টারগুলো আবার শুরু হয়েছে। ভেবেছিলাম খুব ভালোই হয়েছে এই পরিস্থিতির মধ্যেও যেহেতু এলাকার কোচিং সেন্টারগুলো খোলা হয়েছে তা হয়ত উপকারে আসবে, এলাকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যাচর্চায় নিয়োজিত থাকবে।তবে এই ভাবনার ব্যাতিক্রম দশাই নাকি ঘটে চলছে।কোচিং এর নামে চলছে বানিজ্য চন্ডিপুরের কোচিং সেন্টারগুলোতে।আজ এক শিক্ষার্থীর অবিভাবক এর সাথে কথা হয় পেশায় তিনি ভ্যান চালক সে প্রথমেই বলেন ‘বর্তমান সময়ে বড়লোকের পোলাপানই পড়ালেখা করতে পারে।
কারন তারাই পারে মাসের ০১-০৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে।আমাগো মতো মানুষে কি ৫ তারিখের মধ্যে বেতন দিতে পারে? তো মোগো পোলাপান কেমনে লেখাপড়া করামু’। তার এমন কথা শোনার পরেই খুব জানতে ইচ্ছে করে এসবের মূল কাহিনি। খোজ নিতে নিতে এক সূত্রে জানা যায় চন্ডিপুরের কয়েকটি কোচিং সেন্টারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন না দিতে পারলে বিভিন্ন কৌশলে অপমান করা হয় শিক্ষার্থীদের। এমনকি প্রতিষ্ঠান খুললে পরিক্ষার ফলাফল এর ব্যাপারে হুমকি দেয় স্বার্থান্বেষী কিছু শিক্ষক।করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব আজ স্থবির হয়ে পড়েছে অন্যদিকে টিউশনি বানিজ্যে মেতে উঠেছে কোচিং সেন্টারগুলো।গ্রামের অনেক অভিভাবক আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ অভিভাবকই কৃষক,দিন মজুর এক কথায় দিন আনে পান্তা ফুরায় এমন অভিভাবকই বেশি।
এই শিক্ষকদের এমন সিদ্ধান্তের জন্যই অনেক শিক্ষার্থীর থেমে যায় লেখাপড়া, বেছে নেয় অর্থ উপার্জনের পথ।এই পরিস্থিতি থেকে আদর্শ শিক্ষা ব্যাবস্থা ফিরিয়ে আনতে এসকল কোচিং সেন্টার এর কোচিং বানিজ্যের প্রতি যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রসাশন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এক অভিবাবক।