আজ রোববার পবিত্র শবে মেরাজ। ইতিহাসের এই দিন রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আরশে আজিমে যান। এ কারণেই হিজরি রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমাপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ।
মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। পরিভাষায় মেরাজ হলো, মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সশরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় হজরত জিবরাইল (আ.) ও হজরত মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে
একে একে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণ; মহান রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ ও জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে ফিরে আসা।
প্রতিবছর মুসলমানরা আরবি মাস রজবের ২৭ তারিখে শবে মেরাজ উদ্যাপন করে থাকেন।
এ উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশের সমৃদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মুসলমানরা সারা রাত মহান আল্লাহ কাছে বিশেষ দোয়া করবেন। তবে করোনার কারণে এবার শবেমেরাজ উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের মিলাদ ও ওয়াজ মাহফিলের বিভিন্ন কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তিনি পবিত্র (আল্লাহ) যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি।
যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা-১৭ [৫০] ইসরা-বনি ইসরাইল, রুকু: ১, আয়াত: ১, পারা: ১৫, পৃষ্ঠা ২৮৩/১)।
এই রাতেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা শরিফ থেকে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে সপ্তম আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
পৃথিবীতে ফিরে রাসুল (সা.) পুরো ঘটনা হজরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে বর্ণনা করেন। মক্কার কাফেররা রাসুল (সা.) মেরাজের ঘটনাকে অবিশ্বাস করলেও তিনি নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসুল (সা.) তাকে সিদ্দিকি বা বিশ্বাসী খেতাব দেন।