স্টাফ রিপোর্টারঃ সনাতন ধর্মের সাধক/সমাজ সংস্কার/সমাজসেবক/সাংস্কৃতিক অঙ্গন/শিক্ষা বিস্তার/সৎসঙ্গ আশ্রম প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা/মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাংবাদিক প্যারী মোহন আদিত্য অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা ও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রদানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিবাহিত করেন সেবার মহান মন্ত্র নিয়ে।
১৯৭১সনের ৮ আগষ্ট টাঙ্গাইলের পাকুটিয়ার সৎসঙ্গ আশ্রমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে তিনি নৃশংসভাবে নিহত হন। তিনি সব ধর্মের মিলনক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের প্রবর্তিত সৎসঙ্গের সহ প্রতি ঋৃত্বিক, সৎসঙ্গ সংবাদের সহ-সম্পাদক, সৎসঙ্গের কার্যকরী পরিষদের সদস্য, সমাজসেবক এবং সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তার ঢেউ লাগে টাঙ্গাইলেও।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা আশ্রমে গোলাগুলি শুরু করে এবং প্রেট্রোল ঢেলে দিয়ে আশ্রমের মন্দির, অফিস, বসত বাড়ি সহ সমস্ত কিছু আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। সেল নিক্ষেপের আঘাতে মন্দির ধ্বংস করে দেয়। আর এই আশ্রমে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের রণাঙ্গণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে তাকে টেনে হিচড়ে গুলি করে তারপর বেয়নেটের মাধ্যমে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে।।
আশ্রমের মন্দির, বসত বাড়ি সহ সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তাঁর কোন স্মৃতি চিহৃ ও কোন ছবি সংরক্ষন করা সম্ভব হয়নি।
প্যারী মোহন আদিত্য (লেখক, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব) সৎসঙ্গের জন্য যে মেধা, শ্রম, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা প্রয়োজন তার পরিপূর্ণ অধিকারী ছিলেন। স্বাধীনতা বিদ্ধেষী বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতির শত্রুরা তাঁকে হত্যার চক্রান্ত হত্যা করে।