২০২৫ সালের মধ্যে ভোলা-বরিশাল ব্রীজের বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতুটি তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর উপর নির্মিত হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১২ কিলোমিটার। যারমধ্যে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ও দেড় কিলোমিটার করে পৃথক দুটি সেতু হবে বাকিটুকু সড়ক। এ সেতুর মধ্যদিয়ে মুল ভু-খন্ডের সাথে যুক্ত হবে ভোলা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মান প্রস্তবনার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদে। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ, ভুমি সচিব মাকসুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক, জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়ছার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ সেতু ও সড়ক অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী
এসময় তোফায়েল আহমেদ বলেন,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ হবে এবং এ ব্রীজ নির্মান এখণ সময়ের ব্যাপার। ব্রীজকে কেন্দ্র করে ইপিজেট ও টুরিজম হবে। ভোলা একটি শিল্পায়নের জেলা হবে। সারাদেশের মধ্যে ভোলা একটি শ্রেষ্ট জেলায় রুপান্তিত হবে। এ জেলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে সাজানো হবে।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোলা-বরিশাল ব্রীজ ভোলাবাসীর জন্য ব্রীজটি গুরুপ্তপূর্ন, একটি এখন বাস্তবায়নের পথে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে অধিষ্ঠিত হবে। ফলে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন আমারে জন্য অবশ্যই গুর”ত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আন্তরিক আছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পরে সাবেক মন্ত্রীসহ প্রতিনিধি দল ভোলা-বরিশাল ব্রীজের স্থান ভেদুরিয়া পরিদর্শন করেন।