কাহারোলে দরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল, ডাল ও তেল বিতরণ
জেলা প্রতিনিধি- মোঃ নাঈম ইসলাম,
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-কৈকা প্রকল্প ৫ বছরের নীচের শিশু ও গর্ভবতী মা’দের পুষ্টিমান উন্নয়নে গত মার্চ ২০২১ হতে কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠির মধ্যে পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য সমন্বিত কর্মসুচি হাতে নিয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে অতিদরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে চাল, ডাল ও তেল বিতরণ, হাস-মুরগি পালন এবং সব্জি চাষ প্রশিক্ষনের পর হাস-মুরগি ও সব্জি বীজ বিতরণ, শিশুদের জন্য পুষ্টিকলা বিতরণ ইত্যাদি।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটি ১১ মার্চ ২০২৩ তারিখে ডাবোর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায়ের মাধ্যমে চাল, ডাল ও তেল বিতরণ শুরু করে। যার আওতায় ইউনিয়নের ১৫০ টি পরিবার প্রত্যেকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ কেজি সয়াবিন তেল পেয়েছে । বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সচিব, নির্বাচিত মেম্বরগণ এবং এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের কিছু উদ্ভাবনী কর্মসূচী রয়েছে যা অন্য যে কোন প্রকল্প থেকে পৃথক। কর্মসূচীসমূহ হলো- শিশুদের পুষ্টি উন্নয়ন, মেধা বিকাশ এবং গর্ভবতী মা’দের সেবা নিশ্চিতকরনে নারীদের পাশাপাশি বাবাদের ভূমিকা নিশ্চিত করা। যা জেন্ডার বৈষ্যম্য দুর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আরেকটি ভিন্ন রকম কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাড়ি পর্যায়ে পাড়ার সদস্যদের অশগ্রহণে শিশুদের জন্য খিচুড়ি রান্না এবং তাদের অড়ম্বরপূর্ন খাবার অয়োজন। যা ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে শিশুর ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম বাড়াতে সক্ষম। এই খিচুড়ি রান্না এবং শিশুদের খাওয়ানোর পদ্ধতি মা’দের অভ্যাসটাকেই পাল্টে দিচ্ছে যা তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আনবে বলে গ্রামের সাধারণ জনগণ মনে করছেন।
তিন বছর মেয়াদের এই প্রকল্পটি ডাবোর ইউনিয়নের শিশুর পুষ্টিমান স্বাভাবিক পর্য়ায়ে উন্নীত করবে যা শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা এবং তাদের মেধা বিকাশে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
প্রকল্পটি গ্রামের জনগণ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ফলে জনগণের অংশগ্রহণে প্রকল্পটি তার লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।