এই বাচ্চাটি গতরাত ৩টায় তুর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেণ দুর্ঘটনার সময় আহত অবস্থায় উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিলো। মেয়েটির মা বাবা বা কোনো অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।মেয়েটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে। দয়াকরে ছবিটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন এবং বাচ্চাটির পরিবারের সন্ধান পেতে সহায়তা করুন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় সারাদেশের সাথে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫জন নি হত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা আভিযোগ তুলছে, এই ভ য়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তূর্ণার চালক সিগনাল অমান্য করায়। তূর্ণা ট্রেনর একাধিক যাত্রী সাংবাদিককে বলেন, ২টা ৫৬ মিনিটে ভয়াবহ ঝাঁকুনির পর ট্রেন থেমে যায়। তারপর তারা নেমে দেখেন ভয়াবহ এই দৃশ্য।
মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টারকে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রেন কর্মকর্তারা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে চলন্ত অবস্থায়। উদয়নকে লুপ বা সাইড লাইনে যখন পাঠানো হচ্ছিল তখন এর পেছনের তিনটি বগি মূল লাইনে থাকতেই ঢাকাগামী তূর্ণা চলে আসে এবং এ সংঘর্ষ ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক বলেন, এ পর্যন্ত ১৫ জন নি হতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৯ জনের লা শ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি ৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে মা রা যায়। আহত এ পর্যন্ত ৭৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশ ঙ্কাজনক।