করোনা ভাইরাসের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে জরুরি হটলাইন নম্বরে কল করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যারা আক্রান্ত দেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন এবং যাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ—জ্বর, কাশি, গলাব্যাথা বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ রয়েছে, তারা আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করবেন। অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন। হটলাইন নম্বরগুলো হলো: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।’
‘সরাসরি আইইডিসিআরে আসার দরকার নেই। বাড়িতে বসেই হটলাইনে ফোন করলেই সব শুনে নমুনা সংগ্রহের জন্য বাড়িতে পৌঁছে যাবে আইইডিসিআর টিম।’- যোগ করেন ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
এদিকে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গণপরিবহন এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে আইইডিসিআর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে গণপরিবহনে চলাচল করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। সন্দেহজনক তালিকায় যারা আছেন বা যাদের মধ্যে লক্ষণ ও উপসর্গগুলো রয়েছে, প্রথমে ধরে নিতে হয়, তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে। মৃদু অসুস্থ থাকলে বাড়িতে থাকাই উত্তম।
আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ যোগাযোগ করলে একটি টিম কল দাতার বাড়িতে গিয়ে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে পরীক্ষা করবে।
এদিকে বাংলাদেশে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দেশে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন দুইজন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের দুইজন ইতালি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন। দেশে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করা হয়। আক্রান্ত একজনের মাধ্যমে পরবর্তীতে একই পরিবারের আরও এক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
‘তিনজনের মধ্যে একজন নারী, দুইজন পুরুষ। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে,’ যোগ করেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশটির অন্যান্য প্রদেশেও। এখন তা ছড়িয়েছে বিশ্বের নানা দেশে।
এর আগে ভারত ও পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।